গাজীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু ,পরিচয় দেওয়ার পরেও হাসপাতালে মেলেনি বেড। 104 0
গাজীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু,পরিচয় দেওয়ার পরেও হাসপাতালে মেলেনি বেড।
মোছাদ্দিকুর রহমান মুছা:
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃফজলুল হক ফকির(৮৫) গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার খোদাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। নিহতের মেয়ে ফাতেমা আক্তার জানান, তার বাবা স্টোকের রোগী ছিলেন। মঙ্গলবার (১৫ই ডিসেম্বর) রাত ৯ টার দিকে আবারও অসুস্থ হলে তার বাবার চিকিৎসার জন্য প্রথমে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।পরে চিকিৎসকরা সেখান থেকে তাকে শহীদ তাজউদ্দিন হাসপাতালে রেফার্ড করেন।রাত ১১ঃ১৫ মিনিটের দিকে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হাসপাতালে পৌঁছেন।এই সময় উপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়ার মতো বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসক পাননি।তাকে হাসপাতালের কেভিন বেড দিতে বল্লে মেডিসিন ওয়ার্ড থেকে তাদেরকে জানানো হয় সেখানে কোনো কেভিন ও বেড খালি নেই।মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় দেওয়ার পরেও তাকে নার্সরা হাসপাতালের বারান্দার মেঝেতে চাদর পেতে দেন, রোগী নিয়ে রাতে শীতের মধ্যে অবস্থান করার মত পরিবেশ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক উপস্থিত না থাকায় তার বাবাকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন তারা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ঃ২০ মিনিটে তার পিতা মারা যান।তাজউদ্দিন হাসপাতাল থেকে জানান বিজয় দিবসের দিন চিকিৎসা দেওয়ার মত বড় ডাক্তার থাকে না। জরুরি বিভাগের ইনচার্জ মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, ১৫ই ডিসেম্বর রাত ১১ঃ১৫ মিনিটে ফজলুল হক ফকির নামে রোগী জরুরী বিভাগে আসেন।ঐ সময়, তিনি যে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেননি কেউ। সাধারণ রোগী হিসেবে ভর্তির ফাইল তৈরি করে সেখান থেকে ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। তারপর ওয়ার্ডে কি হয়েছিল তার জানা নেই। নিপা দাস জানান যে,ঐ দিন রোগী দেওয়ার মত কোনো বেড খালি ছিল না। তাই বারান্দার মেঝেতে বিছানা করে দেওয়া হয়। শহীদ তাজউদ্দিন হাসপাতালের উপ-পরিচালক তপন ক্রান্তি সরকার বলেন, মঙ্গলবার রাতের বিষয়টি তাকে কেউ জানায়নি। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে খবর শুনে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন,একজন রোগী জরুরী বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর তাকে মেডিসিন বিভাগে পাঠানো হয়।এই ওয়ার্ডে বেড দেওয়া হয়েছে কিন্তু বেড তাদের পছন্দ না হওয়ার ফাইল ও রোগীকে নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন।কাপাসিয়ার ইউএনএ মোসাঃ ইসমত আরা জানান,ফজলুল হক ফকির একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।